বানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় কিশোরী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আয়শা আক্তারকে (১৩) হত্যার ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়। নিহত আয়শার পিতা দুলাল লাহাড়ী বাদী হয়ে সিদ্দিক মীর, তার ছেলে সাব্বির ও সাইদকে সুনির্দিষ্ট এবং ২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে এ মামলা করেন। সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় সিদ্দিক মীরের স্ত্রী হনুফা বেগমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছে এবং তাদের বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশা আক্তার। অনেক খোঁজাখুজির পরে বুধবার সকালে কিশোরীর একটি জুতা খুঁজে পায় তার স্বজনরা। জুতার সূত্র ধরে সিদ্দিক মীর, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীরা জিঙ্গাসাবাদ করলে সব ততথ্য বেরিয়ে আসে। পরে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার বাজার সংলগ্ন খাল থেকে আয়শার লাশ উদ্ধার করেছে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
আসামিদের দেওয়া স্বীকারক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ১১টার দিকে আয়শা আক্তার প্রতিবেশী সিদ্দিক মীরের ঘরে টিভি দেখতে যায়। টিভি দেখা শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় সিদ্দিক মীরের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরের পিছনে খালের মধ্যে চুবিয়ে আয়শাকে হত্যা করে সাব্বির। পরের দিন বুধবার সকালে সিদ্দিক মীর বাড়ির পাশের ছোট খালে আয়শার লাশ জালের সাথে পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সিদ্দিক জানতে পেরে ছেলেদের বাঁচাতে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে পায়ে বালতি ও মেয়েটির ফ্রকের ভিতরে ইট ঢুকিয়ে বাড়ির পাশে বড় খালে ডুবিয়ে দেয়।
আরও জানা যায়, প্রতিবেশী সিদ্দিক মীরের ঘরে প্রতিদিন গিয়ে টিভি দেখতো। আয়শার সঙ্গে একত্রে সাব্বিরও টিভি দেখতো। এ নিয়ে সাব্বিরের মা হনুফা বেগম তাকে গালমন্দ করায় আয়শার জন্য গালি শোনায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেছে।