ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের নামে মিথ্যা মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, কুষ্টিয়া থেকে বাড়ি ফেরার পর গত ০৬/১২/২০২০ তারিখে জান্নাতুল ফেরদাউস স্বামীঃ বাহারউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট একটি জিডি করে। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, মেহেদী তাদের ৬০,০০০ টাকা ও মালামাল লুটসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই কাউছারুজ্জা কোনরূপ তদন্ত কিংবা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই তার বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করেন। যার কারণে মেহেদী বলেন, আমি আমার ভবিষ্যৎ জীবন ও ক্যায়িয়ার নিয়ে বর্তমানে সংশয় ও দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। আমার মান হানি, স্বাভাবিক জীবন বিনষ্ট ও ক্যারিয়ার ধ্বংসের অপচেষ্টা করার জন্য আমি এস আই কাউছারুজ্জামান ও বাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
উল্লেখ্য, গত ১৫/০৫/২০২০ তারিখে, স্থান ১১নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ মজুপুর, সদর থানা, লক্ষ্মীপুর জেলায় সকাল আনুমানিক ৭ টায় সন্ত্রাসী মিশন নিয়ে ঐ শিক্ষার্থীর বাড়িতে আক্রমন করে। দিশেহারা হয়ে ৯৯৯-এ যোগাযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের আমাদের উদ্ধার করে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮/০৫/২০২০ লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটা সাধারণ ডাইরি (জিডি নং ৮৪৭) করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের আদেশে এস. আই. মহিউদ্দিন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। মামলাটি আদালতে এখনো চলমান। জিডি করার পর আসামীরা বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ঐ শিক্ষার্থী মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তারা বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ৬/৭ মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যেগুলো তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।